বাংলাদেশে পোকো m3 দাম কত জানুন

আপনি কি কম প্রাইসে একটি অসাধারণ মোবাইল খুজছেন? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশে পোকো m3 দাম কত এবং এটির সম্পুর্ন স্পেসিফিকেশন নিয়ে আলোচনা করবো।

Poco m3 সম্পূর্ণ স্পেসিফিকেশন

এই মোবাইলটি আপনার কেনা উচিত হবে কি না এব‍ং এই মোবাইল থেকে আপনি কেমন পারফরম্যান্স পাবেন ইত্যাদি সকল বিষয় এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। তো দেরী না করে চলুন শুরু করি।

সাধারন তথ্য

পোকো m3 মোবাইলটি নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখে ২০২০ সালে বাংলাদেশে রিলিজ হয়। আপনি এই মোবাইলটি কুল ব্লু, পোকো ইয়েলো এবং পাওয়ার ব্ল্যাক এই তিনটি কালার ভ্যারিয়েন্টে পেয়ে যাবেন।

এছাড়া ৪জি কানেকশন, ডুয়াল ন্যানো সিম, ব্লুটুথ, জিপিএস, রেডিও, ইউএসবি v2.0, ওটিজি, ইউএসবি টাইপ-সি ইত্যাদি সাপোর্ট করে।

বডি

এই মোবাইলটির বডি স্টাইল মিনিমাল নচ। সামনে ৩য় প্রজন্মের গরিলা গ্লাস এবং সম্পুর্ন বডিটি গ্লাসটিক ( প্লাস্টিক এবং গ্লাসের সংমিশ্রণ ) দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।

পোকো m3 মোবাইলটির আয়তন ১৬২.৩ × ৭৭.৩ × ৯.৬ মিলিমিটার এবং ওজন ১৯৮ গ্রাম।

ডিসপ্লে

এই মোবাইলটির ডিসপ্লে সাইজ ৬.৫৩ ইঞ্চি এবং রেজোলুশন ১০৮০ × ২৩৪০ পিক্সেল।

আইপিএস এলসিডি টাচস্ক্রিন টেকনোলজি এবং কর্নিং গরিলা গ্লাস প্রোটেকশন Poco m3 মোবাইলের ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মাল্টিটাচ এবং ৪০০ নিট উজ্জ্বলতার সুবিধা এই মোবাইলে পেয়ে যাবেন।

পিছনের ক্যামেরা

Poco m3 মোবাইলের পিছনের ক্যামেরায় ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়া সর্বোচ্চ ১০৮০ পিক্সেল এবং ৩০ এফপিএস এর ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।

সামনের ক্যামেরা

৮ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা সামনে ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সামনের ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০ পিক্সেলের ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারবেন।

ব্যাটারি

৬০০০ mAh এর একটি নন রিমুভাল এবং লিথিয়াম-পলিমার দিয়ে তৈরী শক্তিশালী ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত গেম খেললেও সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন। এছাড়া ১৮ ওয়াটের ফার্স্ট চার্জিং এবং রিভার্স চার্জিং সুবিধা এই ফোনে পেয়ে যাবেন।

পারফরম্যান্স

ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড ১১ এবং এমআইইউআই ভার্সন ১২ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ১১ ন্যানোমিটারের শক্তিশালী কোয়ালকোম স্ন্যাপড্র্যাগন চিপসেট Poco m3 মোবাইলে দেওয়া হয়েছে।

অক্টা কোর এবং ২.০ গিগাহার্জের প্রসেসর সাথে অ্যাড্রেনো ৬১০ জিপিইউ এই মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে।

স্টোরেজ

৪ এবং ৬ জিবি এই দুইটা র্যাম ভেরিয়েন্টে আপনি Poco m3 মোবাইলটি পেয়ে যাবেন। রম ৬৪ এবং ১২৮ জিবি।

উল্লেখ্য যে ৬৪ জিবি এর ক্ষেত্রে UFS 2.1 ভেরিয়েন্টের রম ব্যবহার করা হয়েছে এবং ১২৮ জিবি এর ক্ষেত্রে UFS 2.2 ভেরিয়েন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

অন্যান্য ফিচার

সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলোক সুবিধা এই মোবাইলটিতে পেয়ে যাবেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় সেন্সর এই মোবাইলে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে পোকো m3 দাম কত?

৬/৬৪ জিবি ভেরিয়েন্টের অফিসিয়াল বাংলাদেশ মুল্য ১৭,৪৯৯ টাকা। ৬/১২৮ জিবি ভেরিয়েন্টের অফিশিয়াল বাংলাদেশ মুল্য ১৮,৪৯৯ টাকা।

ভালো দিক

প্রথমত Poco m3 মোবাইলটির ডিজাইন অসাধারণ। এছাড়া এতে ভালো প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে যার দ্বারা ভালো গেমিং পাফরমেন্স পাবেন। আরেকটি ভালো দিক হলো এর ব্যাটারি।

৬০০০ mAh এর লং লাস্টিং ব্যাটারি দিয়ে আপনি অনায়াসে ১ থেকে ২ দিন পার করে দিতে পারবেন।

খারাপ দিক

মোবাইলটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর খুব একটা ভালো নয়। এছাড়া এর টাচ সেন্সর খারাপ হয়াই একটু স্লো কাজ করে। তাছাড়া মাল্টিটাস্কিং এবং ভারি কাজ গুলো করতে পারবেন না।

এই ফোনটি আপনার কেনা উচিত হবে কি?
Poco m3 মোবাইলটি মুলত সাধারণ ইউজারদের জন্য তৈরী করা হয়েছে। তবে ছোট ছোট ভারি কাজ গুলো আপনি করতে পারবেন।

তাছাড়া এর ডিজাইন অসাধারণ। তাই আপনি যদি অনেকক্ষন যাবত ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে এবং অসাধারন ডিজাইন এমন ফোন খুজেঁন তাহলে এটা আপনার জন্য সেরা হবে।

সর্বশেষ কথা

আজকের মতো এ পর্যন্তই। আশাকরি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। এমন আর্টিকেল প্রতিদিন পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *