Uncategorized
অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৩ | ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন
অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৩-২০২৩ সালে এসে কিন্তু ই-পাসপোর্ট এ আরেকটু চেঞ্জ হয়েছে যারা ই-পাসপোর্ট করবেন ভাবছেন ২০২৩ সালে তারা অবশ্যই আজকেরপোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে দেখবেন।শুরুতে আপনাদের বলে নেই আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদেরকে কি কি দেখাতে চলেছি। ই-পাসপোর্ট এখন বর্তমানে কিন্তু ঘরে বসে আবেদন করা যায়, আপনারা প্রত্যেকেই জানেন কিছুদিন আগেও কিন্তু ই পাসপোর্ট এর জন্য পেমেন্ট করতে হতো, ব্যাংকে গিয়ে কিন্তু এখন পেমেন্টের ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন এসেছে, এবং এই পরিবর্তন আসার পরে অনেকেরই কিন্তু কিছু কিছু সমস্যা হচ্ছে যেমন অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করার পরে কিছু কিছু জিনিস আপনার ফেস করতেছেন সেটা হচ্ছে অনেকে ট্রানজেকশন আইডি পাচ্ছেন না। তাই আজকের এই পোস্টে এটুজেড প্রসেস থাকবে কিভাবে আপনি ঘরে বসেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন কিভাবে, আপনি কোন প্রকার দালালের ঝামেলা ছাড়াই আপনার ই-পাসপোর্টে হাতে নিতে পারবেন। এবং ই পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করলে কি কি অসুবিধা হয় এই সকল কিছু থাকছে আজকের পোস্ট এ .
- আসল ভিটমেট অ্যাপস ডাউনলোড করার নিয়ম 2022
- বন্ধুর জন্মদিনের হাসির স্ট্যাটাস (ফানি) 2023
- ম দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ 2022
ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে ২০২৩
পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারীর ধরণ অনুসারে ফি’র পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের পাসপোর্টের ফি’র পরিমান জানতে ক্লিক করুন
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২৩
- অনলাইনে আবেদনের সারসংক্ষেপ বা সামারী – Application Summery
- আবেদনের কপি
- জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
- ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- পিতা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের ক্ষেত্রে আবশ্যিক)
- পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
- নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩
ই পাসপোর্ট করার জন্য ভিজিট করুন www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে এবং সেখানে কিভাবে কি করতে হবে তা নিচে দেখুন
ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২৩
বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আপনি যদি ২০২৩ সালে এসে ই পাসপোর্ট করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু জিনিস লক্ষ্য করতে হবে প্রথমত হল সঠিক ভাবে আপনাকে আবেদন করতে হবে দ্বিতীয়ত হলো সঠিকভাবে পেমেন্ট করতে হবে এবং তৃতীয়তঃ হলো আপনাকে সঠিকভাবে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে এই তিনটা স্টেপ এর ভিতরে বেশ কিছু জিনিস লক্ষণীয় রয়েছে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত দেখবেন কোন জায়গাতে স্ক্রিপ্ট করা যাবে না যদি স্ক্রিপ্ট করেন তাহলে কিন্তু আপনি পাসপোর্ট এর আবেদন করেও পাসপোর্ট এর জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এন্ডোর্সমেন্ট করতে পারবেন না তো যাই হোক আপনি যে কাজটি করবেন আবেদন করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার কম্পিউটার কিংবা মোবাইল দিয়ে আপনি যে কোন একটি ব্রাউজার ওপেন করবেন ব্রাউজার ওপেন করার পরে আপনি গুগলের সার্চ বারে সার্চ করবেন ই-পাসপোর্ট বিডি পাসপোর্ট বিডি লিখে সার্চ করলে আপনি দেখতে পারবেন সবার উপরেই আপনাদের সামনে একটা ওয়েবসাইট চলে আসবে আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে ক্লিক করবেন তাহলে দেখতে পারবেন আপনাদের সামনে এরকম একটি ল্যান্ডিং পেজ চলে আসবে এবার আপনি যে কাজটি করবেন এখানে দেখতে পাচ্ছেন এপ্লাই অনলাইন.যে বাটনটি রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন
ধাপ নাম্বার ১: আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন
নিচের দেওয়া ছবিটি ফলো করুন ছবিতে যেভাবে ফর্মটি পূরণ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে ফর্মটি পূরণ করে কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন
এবার আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল আপনার ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি লিখবেন সেটির পাসওয়াড যেন আপনার জানা থাকে। কারণ পাসওয়াড না জানলে আপনি সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন না।
ইমেইলের পাসওয়াড মনে না থাকলে পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করুন।
এবং ইমেইল এড্রেস এর বক্সে আপনার মেইলটি বসিয়ে দিন এবং আইএম নট এ রোবট এই বাটনটিতে টিক চিহ্ন দিন এবং কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করুন
ধাপ নাম্বার ২: ইমেইল ভেরিফিকেশন
এখন আপনার মেইলে প্রবেশ করুন সেখানে দেখতে পারবেন পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠানো হয়েছে। আপনাকে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
ধাপ নাম্বার ৩: ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ
ইমেইল ভেরিফিকেশনের পর, পুনরায় ওয়েবসাইটে লগইন করুন। এবার Apply for a New Passport বাটনে ক্লিক করুন। Passport Type হিসেবে সাধারণ পাসপোর্ট হলে Ordinary এবং সরকারি আদেশে বা NOC এর মাধ্যমে পাসপোর্ট Official সিলেক্ট করুন।
এখানে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য ইংরেজিতে সঠিকভাবে পূরণ করুন।
ছবিতে যেভাবে ফর্মটি পূরণ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে আপনি আপনার তথ্যগুলো দিয়ে ফর্মটি পূরণ করুন
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?
উল্লেখ্য যে, যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।
এবং আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয়, তাহলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
আপনার পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে Yes দিন আর না থাকলে No, I don’t have any previous/ handwritten passport.
পাসপোর্ট সংশোধন বা রিনিউ আবেদন: যারা পাসপোর্ট সংশোধন বা রিনিউ আবেদন করবেন তারা এক্ষেত্রে অবশ্যই Yes দিয়ে আগের পাসপোর্টের তথ্য দিবেন।
Address: আপনার Present Address ও Permanent Address সঠিকভাবে লিখুন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, নিচের বক্সে টিক দিন।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৩
Emergency Contact: জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের যে কারো যেমন বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।
Passport Option: এবার আপনার পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা ও মেয়াদ Select করুন।
Delivery Option: Passport Delivery সাধারণ না জরুরী তা সিলেক্ট করুন। সাধারণ হলে Ordinary এবং জরুরী হলে Express সিলেক্ট করুন।
সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
ই-পাসপোর্ট ফি প্রদান ও আবেদন প্রিন্ট ২০২৩
আপনার আবেদন করা হলে প্রিন্ট করার জন্য আপনি ২টি পৃষ্ঠা পাবেন। 1) Application Summery, 2) Online Registration Form. এগুলো আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেইভ করতে পারেন।
Application summery টি ১ পৃষ্ঠা ও Online Registration form টি উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন বাতিল করার নিয়ম ২০২৩
অনলাইনে ই পাসপোর্টের আবেদন করা হলে, আপনি নিজে থেকে আর আবেদন বাতিল করতে পারবেন না। আবেদন বাতিলের জন্য আপনি আপনার জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করতে পারেন।
তাছাড়া, আবেদনে কোন প্রকার ভুলের কারণে যদি আবেদন বাতিল করতে চান, তা বাতিল না করলেও পারেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে এসব ভুল সংশোধন করে পাসপোর্ট আবেদন এনরোলমেন্টে দিতে পারবে। এজন্য আপনার ভুলের ব্যপারে অফিসে অবগত করুন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৩
অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর, আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা আপনি অনলাইন থেকেই চেক করতে পারবেন। ই পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এখানে
ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম- MRP to E Passport
MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার বড় সুবিধা হলো, তথ্য পরিবর্তন। অর্থাৎ আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টে যদি কোন তথ্যের ভুল থাকে আপনি সহজেই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে সঠিক তথ্য ই পাসপোর্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন।
আরো পড়ুন